রংপুরের ঐতিহ্যবাহী লায়ন্স স্কুল এন্ড কলেজের নির্মাণাধীন দ্বিতীয় নতুন ভবন এবং অভ্যন্তরীণ ক্রীড়া কমপ্লেক্স নির্মাণ কাজের শ্রমিকদের মজুরীর বকেয়া পাওনা টাকা আদায়ের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী শ্রমিকরা। মঙ্গলবার (২ জুলাই) রিপোর্টার্স ক্লাব, রংপুরের হলরুমে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে শ্রমিকদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, রংপুর বিভাগীয় শহর ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান উপদেষ্টা নুরুল ইসলাম। এসময় উপস্থিত ছিলেন টাইলস মিস্ত্রি মাসুদ রানা বাবু, সেনিটারি মিস্ত্রি মাসুদ রানা বাবু, ইলেক্ট্রিক মিস্ত্রি আবুল হোসেন, রঙ মিস্ত্রি ইউসুফ আলী, থাই মিস্ত্রি মিজুসহ পাওনাদার শ্রমিকরা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, লায়ন্স স্কুল এন্ড কলেজ রংপুরের দ্বিতীয় নতুন ভবন এবং অভ্যন্তরীণ ক্রীড়া কমপ্লেক্সের নির্মাণাধীন যাবতীয় কাজের মজুরীর অর্থ ১৪ লাখ ৭২ হাজার ৯৮২ টাকা পাওনা রয়েছে শ্রমিকরা। গতবছরের ১৭ ডিসেম্বর ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বর্তমান ও প্রাক্তন কমিটির নেতারা এক যৌথ বৈঠকের পর শ্রমিকদের জানান, বিশেষ কারণে দুই দিনের জন্য চলমান ভবনের নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকবে।
দুদিন পরই আবারও কাজ শুরু করা হবে। কিন্তু পরবর্তীতে আর কোন কাজ শুরু করেননি নবাগত কমিটি। এদিকে শ্রমিকদের বকেয়া পাওনা না দিয়ে চলতি বছরের ১লা রমজান না দিয়ে দিনের পর দিন হয়রানি করাচ্ছেন ওই প্রতিষ্ঠানের সাবেক ও বর্তমান কমিটির নেতারা। এতে দিশেহারা হয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন পাওনাদার শ্রমিকরা।
এবিষয়ে সাবেক কমিটির সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আকবর আলী জানান, আমাদের ক্ষমতা গতবছরের ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ছিল। এই সময়ে মধ্যে নির্মাণ কাজের শ্রমিকদের পাওনা ব্যতিত যাবতীয় বিল প্রদান করা হয়েছে। তবে শ্রমিকরা তাদের পাওনা টাকা আমাদের ক্ষমতাকালীন বিল ভাউচার জমা না করায় তাদের পাওনা টাকা পরিশোধ করা সম্ভব হয়নি।
শ্রমিকদের দাবিকৃত টাকা পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে তিনি আরো বলেন, শ্রমিকরা যে প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন সেটি দৃশ্যমান। ভুলে হয়তো শ্রমিকরা আমাদের সময় বিল দাখিল করেননি, তা বর্তমান কমিটি যাচাই বাছাই করে তাদের দাবিকৃত পাওনা টাকা পরিশোধ করবে এটাই নিয়ম। একইভাবে একই কথা বলেন, তৎকালীন নির্মাণ কমিটির আহ্বায়ক এনামুল হক সোহেল।
লায়ন্স স্কুল এন্ড কলেজের নবাগত দায়িত্বপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক ডা. আকতারুজ্জামান বলেন, পূর্বের কমিটির কাজের দায় আমি নিতে পারিনা। পূর্বের কমিটি প্রতিষ্ঠানে যে কাজ করেছেন, তারা সমস্ত বিলের টাকা তুলে নিয়ে গিয়ে সেই টাকার দায় আমাদের উপর চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছেন।
টিএইচ